1. admin@dailyoporadhonusondhanltd.net : admin :
শিরোনামঃ
ওমর কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিক ও শেরপুর জেলা আঃ লীগের সা:সম্পাদক এড: চন্দন কুমার আটক। বরগুনায় জমকালো আয়োজনে কালবেলার ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত গোপালগঞ্জে কালবেলা’র তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত সাবেক কৃষি মন্ত্রী না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নি কন্যা মতিয়া চৌধুরী! র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম’র অভিযানে ফেনী সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া মিশুক গাড়ি উদ্ধার সহ ছিনতাইকারী গ্রেফতার-০৩  বটিয়াঘাটায় বিএনপির লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় অনুষ্ঠিত শ্রীপুরে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে ডাঃ শফিকুল ইসলামের মতবিনিময় সভা ঝিনাইগাতীতে ডা: সেরাজুল হক স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সবজি ও নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন  সাধারণ মানুষের হাহাকার 

শেরপুরে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ৩ উপজেলায় বাঁধ ভেঙ্গে ৫০/৬০ গ্রাম পানিবন্দি

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৫ জন দেখেছেন

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃগত কয়েক দিনে অবিরাম ভারী বর্ষণে এবং সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার ভোরে রামেরকুড়া,খৈলকুড়া,ঝিনাইগাতী,চতল,
বনগাও সহ কয়েক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ১৫/২০ গ্রাম পানিবন্ধি হয়ে পরেছে।

ঢলের পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা শহরের প্রধান বাজার সহ বিভিন্ন অফিস ও বাড়ী ঘরে। এতে বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর খালভাঙ্গা এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেখানেও ১৫/২০ গ্রাম পানি বন্ধি ।অপরদিকে শ্রীবরদী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতেও ব্যাপক ভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে অত্যন্ত ২০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

ঝিনাইগাতী শহর সহ ভাটি এলাকার কমপক্ষে তিন উপজেলায় ৫০/৬০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সাথে পানিতে ডুবে গেছে অনেক মৎস্য খামার,পুকুর,বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা।স্থানীয়রা জানান,মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী ব্রীজপাড় থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করা নদীর নাব্যতা কমে গেছে। এছাড়া নদীটি খনন না করায় নাব্যতা ফিরিয়ে না আনায় প্রতিবছর সদর বাজার সহ পুরো এলাকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবী নদীর বুকে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়া সহ স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জুরুরি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন,ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।স্ব-স্ব- ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানি বন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরবর্তীতে বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও ঢেউটিন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

আরো দেখুন......